Sunday, September 15, 2019

অটোপসি




যে পাহাড়ে যাব যাব করে মনে মনে ব্যাগ গুছিয়েছি অন্তত চব্বিশবার-
একবার অটোপসি টেবিলে শুয়ে নেই-
পাহার, ঝর্ণা, জংগলের গাছ, গাছের বুড়ো শিকড়- শেকড়ের কোটরে পাখির বাসা;
সবকিছু বেরিয়ে আসবে শরীরের ভেতর থেকে,
বুকের মধ্য দিয়ে বের হয়ে আসবে হামিংবার্ড আর রক্তে সাঁতরে বেড়াবে ডলফিন পরিবার।

 
একবার অটোপসি টেবিলে শুয়ে নেই -
গলগল করে পেট থেকে-
গলার নালী পুড়ে পুড়ে মুখ দিয়ে
বেরিয়ে আসবেঃ
অতি সতর্ক থিসিস পেপার, যত্নের প্রেমিকাকে লেখা চিঠিপত্র, দুমড়ে যাওয়া বাজারের ফর্দ, কবিতার খসড়া, পুণ্যবতী চাঁদ, পায়ে না লাগানো সমুদ্রের জল-বেলাভূমি, আর সতেরো ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র।

একবার আসুক অটোপসি রিপোর্ট-
মর্গের ডোম জানবে নিশ্চয়ই;
হৃদপিণ্ডের কোণ প্রকোষ্ঠে সঞ্চিত রক্ত আর কোণ প্রকোষ্ঠে ভালোবাসা!
ভালোবাসা ব্যাপারটা ও’ বুঝেছে, অলিন্দ নিলয় কেটে-কুটে।
কারণটা জানা দরকার খুব,
ঠিক কীভাবে মরবো সে ব্যাপারে কিছুই ভেবে উঠতে পারি নাই এখনো।


১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯

SHARE THIS

0 comments: