Saturday, May 2, 2020

USA DV Lottery 2021 Bangladesh Application Form

USA DV Lottery 2021 Bangladesh Application Form

USA DV Lottery 2021 Bangladesh application form. DV-2021 Entrants may enter their confirmation information through the link below starting at noon (EDT) on May 5, 2020. The DV-2021 registration period opens on October 2, 2020, and closes on November 5, 2020. You can find all jobs in any country, including the United States, or find all job forms on our website: www.chakrirmela.com. Always visit.

DV Lottery 2021 Bangladesh

The DV-2021 Diversity Visa program registration period was between October 2, 2020, and November 5, 2020. All submission processing at this web site has finished. The Department of State has announced the DV-2021 Diversity Visa (a.k.a. “green card”) lottery dates. The dates for electronic entry submission for this year’s lottery are between noon, Eastern Daylight Time (EDT) (GMT-4), Wednesday, October 3, 2021, and noon, Eastern Standard Time (EST) (GMT-5), on Tuesday, November 6, 2021.
USA DV Lottery

Bangladesh DV Lottery Notice 2020

DV Lottery Job Circular notice has published. Bank Jobs Results, Government Jobs Results, Government University Jobs results in Bangladesh and all Part-time Jobs in Bangladesh and other educational support are available here on our website. All information regarding the appointment of Bangladesh Police Job related given on our website www.chakrirmela.com.
https://jahidonik.blogspot.com/2020/05/usa-dv-lottery.html

US DV Lottery 2022 Eligible Countries


1. To be eligible to enter the Green Card Lottery you must be a native of a qualifying country

You do not have to be very educated to get the American DV lottery. First, you have to get the lottery bargain lottery, you can go to the US $ 12,00,000. People born in countries with high US immigration are excluded from this immigration program. Please see the table below, for countries whose natives are currently excluded from this year’s immigration lottery program. Please note, eligibility is determined only by the country of your birth, it is not based on country of citizenship or current residence.
https://jahidonik.blogspot.com/2020/05/usa-dv-lottery.html

2. Education or Work experience that qualifies for entry into the Green Card Lottery


After that, you will be able to go to America and do any work at home. It can make a lot of money. The parents can send money to the mother.

OPTION 1:

The applicant must have completed a US High School education or a foreign equivalent of a US High School education. The passage of a high school equivalency examination is not sufficient.

If you do not qualify to enter the USA Diversity Visa Lottery you could apply for a Danish Green card that will allow you to work and settle anywhere in the European Union (EU).

If you meet the eligibility Evaluation criteria, you can file your application with the Danish Government and receive your Danish Green Card. A Danish Green Card allows you to live and work in any EU country of choice for three years.

Apply Now

Results To USA 2020
After submitting a complete entry, the applicant will see a confirmation screen containing their name and a unique confirmation number. Starting May 1, 2020, the applicant will be able to check the status of their entry by returning to www.bd.usembassy.gov, clicking on Entrant Status Check, and entering the unique confirmation number and personal information.

Thursday, April 30, 2020

Friday, April 10, 2020

The Order of Time বুক রিভিউ

The Order of Time বুক রিভিউ

একদম নতুন, কসমোলজি নিয়ে এক্ষুনি একটা বই পড়ে ফেলতে চাইলে বলব, এই বইটা ভালো। যারা একটু বেসিক থেকে বেশি বুঝতে চান টাইম ডাইমেনশান, গ্রাভিটি ইত্যাদি তাদের জন্য বইটি ভালো।

যারা অলরেডি এসব ইন্টারমেডিয়েট ফেজগুলো বায়ে হাত কি খেল ভাবেন, তারা হতাশ হবেন। কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে ভারী ভারী কোনো লেকচার নাই। এমনভাবে লিখা যেন, আপনি টাইম এর ট-ও জানেন না, ফিজিক্স এর ফ-ও বোঝেন না। ভদ্রলোক হাতে ধরে ধরে শিখাতে চেয়েছেন। মলিকিউলস থেকে ক্রাঞ্চিং অফ ইউনিভার্স পর্যন্ত। বুঝাতে চেয়েছেন তাপগতিবিদ্যা, এন্ট্রপি, টাইম রিলেশান, অর্ডার, ডিসঅর্ডার, কোয়ান্টাম গ্রাভিটি, ইত্যাদি। বইটিতে জায়গায় জায়গায় ফুটনোট দেয়া আছে, যা বইটি বুঝে বুঝে পড়তে এবং একইসাথে বিরক্তির কারণও হতে পারে। বইয়ে মোট ১৫ টি চ্যাপ্টার আছে।

বইটি লিখেছেন ইতালিয়ান থিউরেটিক্যাল পদার্থবিদ, লুপ কোয়ান্টাম গ্রাভিটির প্রতিষ্ঠাতা Carlo Rovelli। বইটির ইতালিয়ান নাম: L'ordine del tempo, যার ইংরেজী অনুদিত নাম The Order of Time।

নিজে পড়ার চাইতে কেউ একজন যদি বই পড়ে পড়ে শুনাতো!, এমনটি যারা পছন্দ করেন তাদের জন্য হট বৃটিশ ইংরেজী উচ্চারণে, Benedict Cumberbatch এর কণ্ঠে, ২২৪ পৃষ্ঠার এই বইটির চার ঘন্টা উনিশ মিনিটের প্রিমিয়াম কোয়ালিটি অডিও ভার্শন পাওয়া যাবে Audible ওয়েবসাইটে। (টরেন্টেও এভেইলেবেল)।



Tuesday, April 7, 2020

প্রশ্বাসে তোমার পৃথিবীর শুদ্ধি

প্রশ্বাসে তোমার পৃথিবীর শুদ্ধি

খাপ খোলা সিরিঞ্জ সূঁচে তীক্ষ্ণ চিমটি কাটার মতন,
একটা ঠাণ্ডা হাওয়া দরজার নিচ দিয়ে খবরের কাগজের মতন ঘরে ঢুকে
এইমাত্র ছুঁয়ে গেল পুরুষালি বুক।

খবর পেলাম:
অনেক দূরে - ঘুমোচ্ছো তুমি
বেশ স্বস্তি-শান্তির নিবিষ্ট নিবিদ ঘুম;
পবিত্র তোমার প্রশ্বাসে পৃথিবী ফিরে পাচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।

-----------------------------
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০

Wednesday, March 18, 2020

My coffee mug is getting cold day by day since

My coffee mug is getting cold day by day since


My coffee mug is getting cold day by day since

My coffee mug is getting cold day by day since ....... wait! I can't even remember since when! I can’t understand what is happening in this city. I used to think that, as a citizen of this town ups and downs will come in life and I will overcome. Yes, I still do believe that I will. I will.

In the morning, no wait... I can't call that time as 'morning'. Rather I would say when I get up I can't feel fingers, throat and nerves! It feels that everything is tied with rope.
No, I can walk. I can go towards the basin. I can see my face in the mirror. But don’t know what unknown fear kills me, pulls my legs! 

I want to become aggressive, try to be furious! But I can't control my blood temperature.
I feel like, I am not living the life of a human anymore. I only can imagine me like an animal, a very tiny animal who is running faster and faster. Like a rat running for its life.
When after brushing and washing face I go to make my coffee and start drinking. Trust me I can't feel a single sip. I just pour liquid caffeine into my throat. Sometimes just after finishing a mug, I start missing coffee.

Normally at home, I eat my meals alone all by myself. That is okay to me. I take food and two spoons on my plate and just eat. But lately, I have been going through a feeling for my food. I noticed that I eat too fast! I have measured that, I spend only more or less two minutes to finish each meal! Why? What is my rush? Definitely, I forgot to enjoy food. But fortunately, I can remember what I had in my last meal.

Why I am using the word ‘me’ and ‘I’ too much! Is it a symptom of being self-centered or more rudely being selfish! No! No! Plz, don’t say Yes!
I hate the word ‘I’, I hate the word ‘me’, I hate the word ‘mine’……
Don’t say Yes…. Plz.. don’t!



March 18/2020

Wednesday, March 11, 2020

কবি তাঁর কথা

কবি তাঁর কথা



কয়েকটা পৃথিবীর সে নক্ষত্র-
তাকে আবর্তন করে নামে সকাল সন্ধ্যা।
দুপুর হয়-
রোদ হয়ে সে পা রেখে যায় বুকের 'পর।
এবেলা-সেবেলায় কথা কয়- ফিসফিস
ঠোঁটে তার লেপ্টে থাকে অব্দ পুরান শব্দ,
সে কবি? কবিতার কথা?
নাকি কবি তাঁর কথা?

Tuesday, March 10, 2020

 গুগোল ম্যাপ যেভাবে আগেভাগেই জানিয়ে দেয় রাস্তার ট্রাফিক আপডেট: তুমি চলে যাওয়ার আগে রাখি তোমার পথের খবর!

গুগোল ম্যাপ যেভাবে আগেভাগেই জানিয়ে দেয় রাস্তার ট্রাফিক আপডেট: তুমি চলে যাওয়ার আগে রাখি তোমার পথের খবর!



জরুরী কোনো কাজে যাচ্ছেন কোথাও, হাতে সময় একদম নেই! ভাবছেন পৌঁছতে পারবেন তো সময়মত! তাড়াহুড়োর মধ্যেও বেছে নিতে হবে সবচেয়ে কম সময় লাগা পথটি, দেখে নিতে হবে পথঘাটের ট্রাফিক অবস্থা, যানজট ও গাড়ির গতি!

হ্যাঁ, আমরা এখন চট করেই হাতের স্মার্ট-ফোনটি বের করে দেখে নিতে পারি কাঙ্ক্ষিত পথের লাইভ ট্রাফিক আপডেট!



বলছি গুগল ম্যাপের কথাই, গুগল ম্যাপ আপনাকে আগেভাগেই জানিয়ে দেবে কোন পথে রয়েছে কতটা ট্রাফিক, কোনপথে গেলে পৌঁছানো যাবে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে। নীল, হলুদ ও লাল, এই তিনটি রঙ দিয়ে গুগল ম্যাপ নির্দেশ করে থাকে রাস্তার ট্রাফিক আপডেট। সবুজ অর্থাৎ রাস্তায় গাড়ির গতি বেশ ভালো স্বাভাবিক, জ্যাম নেই।
হলুদ অর্থাৎ ট্রাফিক আছে হালকা থেকে মাঝারী। যেতে সময় লাগবে কিছুটা বেশি। কতটা সময় লাগতে পারে গুণে গুণে সেটাও ম্যাপ দেখিয়ে দেবে আপনার স্ক্রিনে। আর লাল রাস্তা অর্থাৎ, ভাগ্য আপনার বেজায় মন্দ! পথে রয়ছে প্রচুর ট্রাফিক!





কিন্তু কক্ষনো কি জানতে ইচ্ছে হয়েছে কীভাবে গুগল ম্যাপ জানিয়ে দিচ্ছে আপনাকে রাস্তার ট্রাফিক আপডেট! কীভাবে সে আপনার পথের খবর জেনে যাচ্ছে আপনারও আগে!

গুগল তাদের স্মার্ট-ফোন এবং অন্যান্য প্রায় সব ডিভাইসেই GPS নেভিগেশান সিস্টেম ইন্সটল করে দেয়। যা ব্যবহারকারীর তাৎক্ষনিক অবস্থান, গতি, চলাফেরা এমনকি দিক নির্ণয় করতেও সক্ষম। মূলত গুগল ম্যাপ লাইভ ট্রাফিকের এই কাজটি সম্পন্ন করে আপনার, আমার এবং আমাদের সকলের স্মার্ট-ফোন, স্মার্ট ডিভাইস এবং ড্রাইভিং ডিভাইস থেকে জিপিএস লোকেশন ডাটা থেকে।



গুগল ম্যাপ দুই ধরনের এলগরিদমে করে থাকে রাস্তার ট্রাফিক আপডেটের এই কাজটি।

১) সরাসরি লাইভ ডাটা প্রসেসিং

২) আগের রেকর্ডকৃত ডাটা এনালাইজ করে




ধরা যাক, আপনি যাবেন গুলশান থেকে শাহবাগ। আপনি যখনই গুলশান টু শাহবাগ রাস্তার ট্রাফিক আপডেট চেক করার জন্য ম্যাপে সার্চ করেন, ঠিক তখনই গুগল ম্যাপ ঐ রুটে অবস্থান করা সকল স্মার্টফোন ব্যবহারকারী, স্মার্ট ড্রাইভিং এ্যাপস ব্যবহারকারী এমনকি পথচারী যারা হাঁটছেন ফুটপাথে, তাদের সকলের ডিভাইস থেকে তাৎক্ষনিক জিপিএস ডাটা নিতে শুরু করে, এবং ব্যক্তি/যানবাহন কত সময়ে কতটা পথ আগাচ্ছে সেটা সেটার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দূরত্বের এককে হিসেব করে নিমিষের মধ্যেই পুরো পথের ট্রাফিক আপডেট হাজির করে আপনার সামনে!

মূলত আপনি/আমি আমরা সকলেই গুগল’কে ডাটা দিয়ে যাচ্ছি অনবরত! আমরা কোথায় যাচ্ছি, কোনদিকে যাচ্ছি, কতটুকু যাচ্ছি, কী গতিতে যাচ্ছি এসব কিছুই রেকর্ড করে রাখে গুগল। বিভিন্ন ইউজারের লাইভ ডাটা থেকেই তৈরি করা হয় লাইভ ট্রাফিক আপডেট।



আপনি নিশ্চয়ই মনে মনে ভাবছেন, গুগল ম্যাপ যদি রাস্তায় চলাচলকারী গ্রাহকদের ডিভাইস থেকে জিপিএস ডাটা নিয়েই লাইভ ট্রাফিক আপডেট দেখায়, তাহলে কেমন যদি একদিন কোনো একটা নির্দিষ্ট এলাকার সব্বাই নিজ নিজ স্মার্ট-ফোন/গ্যাজেট/ডিভাইস বাসায় রেখে বের হন কিংবা জিপিএস অফ করে রাখেন, অথবা যদি ডিভাইসটি বন্ধ করেই বের করে নিতে বাইরে বের হব? তাহলেও কী গুগল পারবে লাইভ ট্রাফিক আপডেট দেখাতে!


আপনি নিশ্চয়ই গুগল ম্যাপে খেয়াল করে দেখেছেন, লাল,হলুদ ও সবুজ এই তিনটি রং এর রাস্তার ন্যাভিগেশন ছাড়াও ম্যাপে একটি ছাই রঙের রাস্তা দেখতে পাওয়া যায়। যখন কোনো রাস্তার বা এলাকার লাইভ ডাটা ম্যাপে পাওয়া না যায় তখন সেই এলাকার রাস্তার অবস্থা এই ছাই রঙের ন্যাভিগেশন দিয়ে বোঝানো হয়৷ এই ক্ষেতে মূলত আগের সময়ের রেকর্ড করা জিপিএস ডাটা থেকে ক্যালকুলেশন করে আপনাকে দেখানো হয় ঐ রাস্তার হালচাল।

এই ধরনের অবস্থায় গুগল এনালাইজ করে তারিখ, দিন এবং সময়ের হিসেব। যেমন, ধরা যাক একটি এলাকায় যদি সপ্তাহের সবগুলো রবিবারে সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ট্রাফিক বেশি থাকে তাহলে গুগল ধরে নেয় ঐ এলাকায় প্রত্যেক রবিবারেই সকাল ৮ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত একই রকম বেশি ট্রাফিক থাকবে। তাই সেক্ষেত্রে লাইভ ডাটা না পেলেও রেকর্ডকৃত ডাটা থেকে বলে দেয়া যায় কতক্ষণ লাগতে পারে ঐ পথে যেতে৷

এই ফিচারটি কোনো ম্যাপ ব্যবহারকারী নিজেও চাইলে তার ডিভাইসে প্রয়োগ করে দেখতে পারে। সেজন্য নির্দিষ্ট একাকার অফলাইন ম্যাপ ডাউনলোড করে নিলেই হবে, তখন ডাটা ছাড়াও ব্যবহার করা যাবে গুগল ম্যাপ।











Sunday, March 8, 2020

অন্তর্বর্তী অপেক্ষা

অন্তর্বর্তী অপেক্ষা



ধীরে ধীরে মুখস্থ করে নেই যাবতীয় তোমার অভ্যাস-
তিন পা হেঁটে গেছো ডানে, বলতে পারি এবার যাবে উত্তরে-
সকাল দেখে বলতে পারি সন্ধ্যা;
তবুও বুঝতে পারি না, বলতে পারি না-
এখন এই মুহূর্তে, নাকি ভালোবাসবে আরও আরও পরে

(৮/৩/২০)

Saturday, March 7, 2020

আলুথালু উপকথা - ৬

আলুথালু উপকথা - ৬

আট প্রহরের শেষ প্রহরে এসে সম্ভবত ভুল বানানে লিখতে বসেছি আলুথালু উপকথা।
রাত্রি প্রায় চার ছুঁইছুঁই, সময়টা টুকে রাখছি তার কারণ ফিরে এসে যখন পড়ব সময়টা খুব জানতে ইচ্ছে করবে৷ না জানতে পেলেও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বিশেষ কিছু বাড়বে না।
ঘড়িতে দু'টো ত্রিশ বেজে গেছে অনেক আগেই।
দুই আর ত্রিশের কাটার মধ্যে গুঁজে দিয়ে নিজেকে পারিনি ঘুমিয়ে যেতে। পুরাতন চৌকির সাথে পা উল্টো করে ঘষতে ঘষতে কেটে গেছে সময়, আর ভেঙে গেছে নখের আব্রু। আলাদীনের চৌকি হলে বোধহয় দৈত্য টৈত্য বেরতো।

স্যাভলন মাখতে হবে, মনে মনে খুঁজছি প্ল্যাস্টিকের বৈয়াম। মে'মাসে ছিল বেলকনিতে, তার আগের মাসে টেবিলের নিচে! এ মাসে বাসা বদলেছি; নেই, কিনতে হবে। লিখে রাখি। লিখে রাখি।
জেগে থাকবো নাকি ঘুমিয়ে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করব, কিংবা বসব একটু এটা এঁটো নিয়ে; এসব পাঁচকথা কানের কাছে শুনে চোখে বলছে: ব্যথা!
শরীরের সাথে বোঝাপড়া ভাল'ই ছিল, কেবল বুঝিনা ইদানীং আমাকে না বলেই কান, নাক, চোখ, পেট সেরে নেয় টিম মিটিং!
এই খারাপির নাম জানি না!
এলোপ্যাথি মনোপ্যাথি, ভালোবাসা বুঝিসুঝি!!
অসুখ আমার চিত্তে তো নয়, ওটা আছে ভালো।
ঘুমোপ্যাথি শিশিপ্যাথি - রাত্রি বেজায় কালো।।


(৭'ই মার্চ/২০)

Wednesday, March 4, 2020

হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এসেছে নতুন আপডেট!

হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে এসেছে নতুন আপডেট!




২ বিলিয়ন ইউজার ছাড়িয়ে যাওয়া টেক প্রতিষ্ঠান ফেসবুক ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ এর নতুন আপডেট। নতুন এই ফিচারে হোয়াটসঅ্যাপ যুক্ত করেছে বহুল প্রতিক্ষীত ডার্ক মোড।

হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ তাঁর অফিশিয়াল ফেসবুক একাউন্ট থেকে জানিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপ এর এই নতুন আপডেট সম্পর্কে।

আইফোন ব্যবহারকারীদের যারা iOS ভার্শন ১৩ এবং এন্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের যারা Android 10 ব্যবহার করছেন তারা অটোম্যাটিক পেয়ে যাবেন হোয়াটসঅ্যাপ এর এই নতুন আপডেট।

মার্ক তাঁর ফেসবুক একাউন্ট থেকে জানিয়েছেন, Dark mode on WhatsApp is here. Probably one of the most requested features we've ever shipped. 

অর্থাৎ, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে থেকে প্রতিষ্ঠানটির কাছে সবচেয়ে বেশি অনুরোধ ছিল যেন হোয়াটসঅ্যাপে ডার্ক মোড চালু করা হয়। এবং মার্ক সেই খবরটাই একটু স্বত্তির সাথে জানিয়েছেন যে, তারা এই ফিচারটি যুক্ত করে দিয়েছেন।

ডার্ক মোড চালু করা কেন এতটা জরুরী ছিল, একটু ভাবলেই পাওয়া যাবে এর উত্তর। ধরা যাক, আপনি ঘুমিয়ে আছেন, অনেক রাত। হঠাত’ই একটি বার্তা বা কল এলো আপনার হোয়াটসঅ্যাপে। তীব্র আলোর ঝলকানিতে যেন আপনার চোখের কোনো সমস্যা না হয় সেজন্যই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনেকদিন থেকেই আবেদন ছিল ডার্ক মোড এনাবেল করে দেয়ার!


উল্লেখ্য, iOS ভার্শন ১৩ এবং Android 10 এর বাইরে যারা আছেন, তারা নিচের মত করে সেটিং থেকে চালু করে নিতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপ ডার্ক মোড। 
 

Tuesday, March 3, 2020

মানুষ 'নারী'

মানুষ 'নারী'




অতীত উদযাপন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, এই স্লোগান’কে সামনে রেখে ১৯৯৬ সালের ৮ই মার্চ প্রথম উদযাপিত হয়েছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এরপর থেকে প্রতি বছর ৮ই মার্চ মৌলিক এবং স্বতন্ত্র প্রতিপাদ্য’কে সামনে রেখে প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। 

নারী দিবসের মূল চিন্তাভাবনা এক হলেও বিশ্বের নানা প্রান্তে নারী দিবসের লক্ষ্য ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এবারে ২০২০ সালের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হতে পারে একটু ব্যতিক্রম। নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে কেবলমাত্র নারী একাই লড়ে যাবেন এমনটা না ভেবে এবারে নারীর পাশে এসে দাঁড়াতে পারে পুরুষ।

বৈষম্য শব্দটির দিকে তাকালে চোখে ভেসে ওঠে দুটি সত্তার কথা, একটি সত্তা শোষণ ও নির্যাতন করে যাচ্ছে অন্য আরেকটি সত্তা চুপচাপ মাথা নত করে সকল অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে। 

বৈষম্য দূরীকরণে সবার আগে যে বিষয়ের উপর খেয়াল দিতে হয় সেটা অবশ্যই ‘চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন’। বৈষম্য একটি মানসিক ধারণা, যেখানে একজন মানুষ নিজেকে অন্যদের থেকে বড় ভাবতে শুরু করে এবং বাকীদেরকে কোনো না কোনো দিক দিয়ে ছোট ভাবতে শুরু করে এবং প্রতি পদক্ষেপে হেয় করতে শুরু করে যা ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের মধ্যে বেড়ে ওঠে। 

নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে পুরুষের ভূমিকা অবশ্যই প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষ যখন থেকে নিজেকে নারীর থেকে ‘সুপিরিয়র’ ভাবতে শুরু করে ঠিক তখন থেকেই শুরু হতে থাকে বৈষম্যের গোরা পত্তন। পুরুষ যখন নিজেকে ‘পুরুষ’ হিসেবে না ভেবে ‘মানুষ’ হিসেবে ভাবতে শুরু করবে এবং নারীকেও ‘নারী’ হিসেবে না দেখে অন্য আরেকজন ‘মানুষ’ হিসেবে দেখতে শুরু করবে, বৈষম্য কেবল তখনই দূর হবে।  

একজন পুরুষ যদি নারীর প্রতি মানবিক হয়েও থাকেন, নারীকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দিয়েও থাকেন তারপরেও রয়ে যেতে পারে বৈষম্যর বীজ। যদি কেউ প্রাপ্য মর্যাদা দেয়ার পরে মনে মনে এটা ভাবতে শুরু করেন যে, তিনি নারীকে তার ‘প্রাপ্য মর্যাদা দিলেন’, তাহলে ঐ ব্যক্তির মধ্যে তখনো রয়ে যাচ্ছে বৈষম্যের বীজ আর অহংবোধের মানসিকতা। 

নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণের প্রথম ধাপ শুরু হতে পারে পরিবার থেকেই। পরিবারের প্রধান যদি বাবা হয়ে থাকেন তবে তিনিই পারেন তার কন্যা সন্তানের উপর থেকে বৈষম্যের চাবুক তুলে দিতে। একজন পুরুষ সদস্যের উপর যেরকম আচরণ করা হয় একজন নারী সদস্যের উপরেও ঠিক একই রকম আচরণ শুরু হতে পারে পরিবার থেকেই।  
বাবা,ভাই,নানা এবং পরিবারের অন্যান্য পুরুষ সদস্যের সক্রিয় কার্যকলাপ হতে পারে নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে পুরুষের প্রথম পদক্ষেপ। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অফিসেও সহপাঠী, সহকর্মী,বন্ধু এবং শিক্ষক সকলের মানসিকতার পরিবর্তনই হতে পারে নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে পুরুষের প্রধান নিদর্শন। 

নারী দিবসের প্রতিপাদ্যকে আরও একবার স্মরণ করে আরও একবার বলতে চাই, নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে নারী পুরুষের কাছ থেকে কোনো বিশেষ সুযোগ কিংবা সুবিধা চায় না, চায় কেবল মানবিক মানসিকতা যেখানে নারী-পুরুষ সকলেই ‘মানুষ’। 
 
এবেলঃ গণিতের নোবেল

এবেলঃ গণিতের নোবেল



গণিতের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার -- এবেল পুরস্কার ।  নরওয়ে থেকে দেয়া হয় এই পুরষ্কার ।
যারা জানেন না বা ভুলে গেছেন তাদের জন্য একবার স্মরণ করিয়ে দেই, অন্য অনেক বিষয়ে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হলেও ম্যাথে নোবেল পুরষ্কার দেয়া হয় না ।
ম্যাথের অবদানগুলোকে আসলে কোন না কোন দিক দিয়ে পদার্থে চালিয়ে দেয়া যায় ।
পদার্থবিদেরা তাই বলে থাকেন "ফিজিক্স ইজ দ্যা ফাদার অফ সাইন্স "।
নরওয়ে এর ম্যাথম্যাটিশিয়ান নিলস হেনরিখ এবেল এর নামানুসারে এই পুরষ্কারের নাম দেয়া দেয়া হয় "এবেল প্রাইজ" । 



১৯০২ সালে এবেলের ১০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই প্রাইজ এর প্রচলন শুরু হয় । ১৯০২ সালে শুরু করা হলেও আবার প্রচলন করা হয় ২০০৩ সালে । এই প্রাইজের মূল্যমান ৬ মিলিয়ন নরোয়েইয়ান মুদ্রা বা ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৭৭৬ মার্কিন ডলার । যেখানে নোবেল প্রাইজের মূল্যমান ৩ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার ।



২০০৩ থেকে এই অব্দি মোট ১৭ জন পেয়েছেন এই সন্মাননা ।  ২০১৬ তে এবেল প্রাইজ পেয়েছেন ব্রিটিশ ম্যাথম্যাটেশিয়ান স্যার  এন্ড্রু জন উইলস । ইনি  রয়েল সোসাইটির গবেষক  এবং  অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক । নাম্বার থিউরি  নিয়ে গবেষণা করেন এবং ফার্মেটস লাস্ট থিউরি প্রমাণ করে এবেল পুরষ্কার পান ।


তাঁর দুইটি স্মরণীয় বাণী: 
১/ সর্বদা সেই সমস্যার সমাধান চেষ্টা করুন যা আপনার কাছে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ । 
২/ শৈশবে আমার যে স্বপ্নগুলো ছিল পরিণত বয়সে এসে আমি তাঁর খুব কম সংখ্যকই খুঁজে পাওয়ার সুযোগ পেয়েছি । 


আপনি হয়ত মনে মনে ড. জন ন্যাশের কথাই ভাবছেন ! ঠিক ধরেছেন ২০১৫ সালে সিজিওফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত এই ম্যাথম্যাটেশিয়ান জন ন্যাশ  পেয়েছেন এবেল প্রাইজ। একই সালে তাঁর  সাথে আরও এবেল প্রাইজ পেয়েছেন লুইস নিরেনবার্গ । এরা দুজনেই মার্কিন গণিতবিদ ।

জন ন্যাশ

জন ন্যাশ এর কথা বলতেই মনে পড়ে গেল A Beautiful MInd মুভিটার কথা । জন ন্যাশের জীবনী নিয়ে করা এই মুভি দেখেন নাই হেন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না । মুভিতে জন ন্যাশের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন গ্ল্যাডিয়েটর খ্যাত Russell Crowe ।



মুভির কথা যখন উঠলই তখন আরেকটা মুভির কথা বলছি,  গণিতের  যুবরাজ শ্রীনিবাস রামানুজন (Srinivasa Ramanujan) , উপমহাদেশের একজন বিখ্যাত গণিতবিদ । যিনি পাই এর মান নির্ণয়ে অবদান রাখেন । উনি ম্যাথে এতটাই ভাল ছিলেন কিন্তু ইংরেজিতে এতটাই কম পারতেন যে প্রাতিষ্ঠানিক  লেখাপড়ায়  বেশিদূর যেত পারেন নি । শেষকালে তিনি যক্ষ্মায় মারা যান ।
তাঁর জীবনী নিয়ে করা মুভি The Man Who Knew Infinity, চাইলে দেখে নিতে পারেন ।



যাহোক ফিরে আসি [sb]জন ন্যাশের[/sb] কথায়, এই ভদ্রলোক ম্যাথ নিয়ে এতটাই মগ্ন ছিলেন যে দুনিয়াবি সকল কাজ কাম ভুলে যেতেন । একা একা বক বক করতেন । এক পর্যায়ে আক্রান্ত হন সিজিওফ্রেনিয়াতে । ন্যাশ এবেল প্রাইজ পেয়েছেন গেইম থিউরি , ডিফারেন্সিয়াল জ্যামিতি এবং পার্শিয়াল ডিফারেন্সিয়াল ইকুয়েশন উপর অবদানের জন্য ।

যারা গেইম থিউরি কি সেটা নিয়ে চিন্তা করছেন তাদের জন্য নিচের  লিঙ্ক ।

গেম থিউরি- https://en.wikipedia.org/wiki/Game_theory 




লুইস নিরেনবার্গ
লিনিয়ার  এন্ড নন-লিনিয়ার পার্শিয়াল ডিফারেন্সিয়েশন এর গঠন , কাজ এবং জ্যামিতি ও জটিল বিশ্লেষণে তাদের এপ্লিকেশন নিয়ে ফান্ডামেন্টাল কাজ করার জন্য এবেল এওয়ার্ড পান লুইস নিরেনবার্গ । (মানুষ হয় লিনিয়ার ডিফারেন্সিয়েশন না হয় নন-লিনিয়ার ডিফারেন্সিয়েশন তা না হলে পার্শিয়াল ডিফারেন্সিয়েশন নিয়ে কাজ করে  আর উনি মাশাল্লা সব নিয়াই কাজ করছেন! ) 





২০১৪ সালে গণিতের এই সর্বোচ্চ পদক পান রাশিয়ান গণিতবিদ Yakov Sinai (ইয়াকুব সিনাই) । 
ডায়নামিক সিস্টেম নিয়ে গবেষণা করেন এবং সম্ভাব্যতার সূত্রাবলির সিস্টেমের সাথে ডায়নামিক সিস্টেমের সংযোগ ঘটান । তিনি গাণিতিক পদার্থবিদ্যার উপরেও কাজ করেছেন ।






পিয়েরে ডেলিন (Pierre Deligne)  
বেলজিয়ামের গনিতবীদ, জন্ম ৩ অক্টোবর ১৯৪৪ । বর্তমান বয়স ৭৪ বছর । ডক্টরেট করেন আলেকজেন্ডার গ্রোথেনডিয়েক  (Alexander Grot hendieck) এর তত্ত্বাবাধানে এবং তারই সাথে ফ্রান্সের Institute of Advanced Scientific Studies এ কাজ করা শুরু করেন ।




শুরুতে তিনি স্কিম থিউরি নিয়ে কাজ করেন । স্কিম থিউরি এক ধরনের বর্ণালী চাকতি বিশেষ যার মাধ্যমে বিনিময় বীজগিনিত ও জ্যামিতির কিছু কিছু অংশ ব্যাখ্যা করা যেত ।



এটা ছিল একেবারে গণিতের প্রাথমিক শাখাগুলোর একটি । পরে ১৯৬৮ সালে ফ্রান্সের অপর একজন গণিতবিদ জেয়ান পিয়েরে সেরির সাথে মডুলার ফর্ম এবং ফাংশনাল ইকোয়েশন অফ এল-ফাংশন এর উপর গবেষণা করেন । পিয়েরে ডেলিন স্কিম থিউরি ছাড়াও কাজ করেছেন উইল কনজেক্টার্স, রমানুজান-পিটারসন কনজেক্টার্স ও হোজ থিউরির উপরে । মূলত তিনি উইল কনজেক্টার্স প্রমানের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত । ২০১৩ সালে পিয়েরে ডেলিন অর্জন করেন এবেল প্রাইজ । জেয়ান পিয়েরে সেরিও ২০০৩ সালে এবেল পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।

এছাড়াও তিনি যে যে পুরস্কার পেয়েছেনঃ 
উলফ প্রাইজ ২০০৮
ব্যালজান প্রাইজ ২০০৪
ক্যারাফোর্ড প্রাইজ ১৯৮৮
ফিদেলস মেডেল ১৯৭৮



Endre Szemerédi (আন্দ্রে স্যামারেদি)



১৯৪০ সালের ২১শে আগষ্ট জন্ম এই হাঙ্গেরিয়ান গণিতবিদের । কম্বিনেটরিক্স বা সংযুক্তকারিতা এবং ত্বাত্তিক কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়াশুনা ও গবেষণা করেছেন এই গণিতবিদ । ১৯৮১ থে ১৯৮৩ সাল অব্দি পড়াশুনা করেছেন সাউথ ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটিতে ।

গানিতিক গবেষণা, ত্বাত্তিক কম্পিউটার সাইন্স ও বীজগানিতিক সংযুক্তির উপরে প্রকাশ করেছেন ২০০টিরও বেশি নিবন্ধ । তিনি বিষেষভাবে পরিচিত ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত স্যামারেদিস থিউরির জন্য । এই মহান গণিতবিদ এবেল প্রাইজ পেয়েছেন ২০১২ সালে ।

লিখেছেন An Irregular Mind শিরোনামে একটি বই ।


প্রাপ্ত কিছু পুরষ্কার ও সম্মাননাঃ 
এবেল প্রাইজ ২০১২
রোলফ শক প্রাইজ ২০০৮
লেরয় স্টেল প্রাইজ ২০০৮
পোল্যায় প্রাইজ ১৯৭৫
আলফ্রেড র‍্যেনই প্রাইজ ১৯৭৩ 




জন উইলার্ড মিলনার



জন্ম ১৯৩১ সালে নিউ জার্সিতে । মার্কিন এই গনিতিবীদ এক্সোটিক স্পেয়ার বা জটিল বহিঃ গোলক নিয়ে গবেষণা, ফ্যারি-মিলনার থিউরি, মিলনার্স থিউরি, মিলনার-থার্স্টর্ন নিডিং থিউরি ইত্যাদির জন্য পরিচিত ।

বই লিখেছেন বেশ কয়েকটি।  উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বইঃ

ডায়নামিক্যাল সিস্টেম 


মোর্স থিউরি 



সিঙ্গুলার পয়েন্টস অফ কমপ্লেক্স হাইপারসাওফেস



প্রাপ্ত পুরষ্কার ও সম্মাননাঃ 
স্লোয়ান ফেলোশিপ ১৯৫৫
ফিদেলস মেডেল ১৯৬২
ন্যাশনাল মেডেল অফ সাইন্স ১৯৬৭
লে-রয় স্টেলি প্রাইজ ১৯৮২,২০০৪ ও ২০১১
উলফ প্রাইজ ১৯৮৯ 
এবং 
এবেল প্রাইজ ২০১১



জন টরেন্স টেট বা সংক্ষেপে জন টেট 




মার্কিন এই গনিতবিদের জন্ম ১৩ই মার্চ ১৯২৫ সালে মিনিয়াপলিস, মিনেসোটায় ।
মৌলিক বীজগাণিতিক থিউরি, গাণিতিক ও জ্যামিতিক থিউরির উপরে অসংখ্য অবদানের জন্য তিনি সুপরিচিত । তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যাপক ।

গবেষণা করেছেন ফুরিয়ার ট্রান্সফর্ম এর উপরে । যা ইলেকট্রিক সিগন্যালের একটি জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এছাড়াও গবেষণা করেছেন নাম্বার ফিল্ড, অটোমর্ফিক ফর্ম ও এল-ফাংশন নিয়ে কাজ করেছেন । সংখ্যাতত্ত্ব নিয়েও কাজ করেছেন এই মার্কিন গণিতবিদ । তিনি ও তাঁর শিক্ষক এমিল আর্টিন একত্রে প্রকাশ করেছেন গ্লোবাল ক্লাস ফিল্ড থিউরি নামের নিবন্ধ ।

এছাড়াও নাম্বার থিউরির উপর তাঁর নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত টেট কনজেক্টার্স ও টেট মডিউল এর জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত ও সমাদৃত ।

প্রাপ্ত পুরষ্কার ও সম্মাননাঃ
উলফ প্রাইজ ১৯৮৯ 
লে-রয় স্টেলি প্রাইজ ১৯৯৫
ফ্রাঙ্ক নেলসন কোল প্রাইজ ১৯৫৬
এবং 
এবেল প্রাইজ ২০১১


এবেল প্রাইজের ওয়েবসাইটঃ   http://www.abelprize.no/

কিপ সলভিং ম্যাথ ।







লেখাঃ জাহিদ অনিক 

কবি ও ব্লগার







পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ কবি খায়রুল আহসান এর Wandering Thoughts

পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ কবি খায়রুল আহসান এর Wandering Thoughts




সত্যের সাথে আমার বসবাস নাই, আমি বসবাস করি মিথ্যেয়। আমি বেঁচে আছি কল্পনায়, মেতে উঠি অলীক মোহে। সত্যকে আমি স্বীকার করি না। আমাকে তুমি গ্রহণ করো মিথ্যে।
না, কবি খায়রুল আহসান তার ইংরেজি কবিতার বই 'Wandering Thoughts’ তে এমন বাংলা কবিতা লিখেন নাই। উপরের লাইন ৩ টি আমার লেখা। কবি খায়রুল আহসান লিখেছেন তার জীবন সঞ্চিত অভিজ্ঞতার আলোকে তার একান্ত নিজস্ব কথা, তার জীবনবোধ - যেভাবে তিনি দেখেছেন তার বর্ণিল জীবনকে। 

এক 
বইটির প্রথম কবিতা, A Poet’s Dilemma with truth- কবিতার নাম পড়েই মনে ধাক্কা দিয়ে উঠবে, সত্যের সাথে যেখানে সবার আপোষ, সত্য যেখানে চূড়ান্ত ও অবধারিত সেখানে কবির সাথে কিসের বিরোধ থাকতে পারে সত্যের ? কবি কি তাহলে কবিতায় যা লিখেন সেসব মিথ্যে ? সেসব কি তবে অলীক কল্পনা ?
এই কবিতায় কবি খায়রুল আহসান লিখেছেন, 
Beauty is truth, truth beauty’, Poets glorify beauty with truth. Knowing or not, the root of beauty, May lie buried in ugliness, in sooth. 
সত্যকে আপনি যেভাবেই জানুন, আংশিক কিংবা পুরোটা, এক রঙা অথবা রঙিন- সে সত্য। চাঁদ এর আলোর রং রূপালী কি সোনালী, চাঁদ আমাদের মনে কি প্রভাব ফেলে ভালো না খারাপ। মন খারাপ করে না ভালো করে দেয়- সে যাই হোক, সত্য এই যে, চাঁদের আলো তার নিজস্ব নয়। এই চরম সত্য মেনে নিয়ে কাব্যিক উপমায় তাকে উপমায়িত করলে কবির সাথে সত্যের আর কোনও বিরোধ নেই। 

দুই 
একজন কম বয়সী তরুণ কবির কথা ভাবুন, বয়ঃসন্ধিক্ষণে যে সদ্য পড়েছে। কেমন হতে পারে তার কবিতা? কাচা হাতের লেখা বলে অবহেলা ও তাচ্ছিল্য করে চলে যাওয়াই যায়। কিংবা তাকে সান্ত্বনা পুরষ্কার দেয়া যায়। কিন্তু তার কবিতা নিয়ে আপনি ভাবতে বসে যাবেন ? সত্যিই কি এতটা উদার আপনার মন? আসুন দেখি কি লিখেছেন খায়রুল আহসান একজন টিনেজ কবির কবিতা পড়ার পরে -- 
Poetry flows quietly in all our hearts Not often do they find a away out in words. Playing directly with your internal thoughts You’ve produced a poem that’s not just a connect-the-dots. 

তিন 
ভালোবাসা কেমন ? অথবা ভালোবাসা কী ? এই প্রশ্নের উত্তর কে জানে ? অথবা, কে জানে না ? আপনি জানেন - আমি জানি- সে জানে- সবাই জানে সবার মত করে। ভালোবাসা স্বর্গীয় ও আদিম। ভালোবাসা হতে হয় চূড়ান্ত। সত্যিই কী তাই ?
আসুন দেখি কবি তার Pristine Love কবিতায় কি লিখেছেন! 
No love is as overwhelming as pristine, As the maiden love of a lass, say of sixteen. 
ভালোবাসায় প্রতিজ্ঞা যেমন থাকে তেমন থাকে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কষ্ট। ভালোবাসায় সব দিতে হয় যা চায় অপর আত্মা, হাত ধরে হাঁটতে হয় একাকী নির্জনে অথবা লোকারণ্য কোলাহলে। বৃষ্টি জলেও খুঁজে নিতে হয় প্রিয়ার চোখের জল। 
Not realizing that promises are easy to make but difficult to keep, Broken promises are hard to bear with, easy to make one weep. 

চার 
যখন একজন কবির মধ্যে আত্মপ্রকাশ পায় এক কবি সত্তা, যিনি মনে মনে নিজেকে বুঝতে পারেন, চিনতে পারেন। কেমন হয় তখন তার মানসিক অবস্থা ?
তিনি কি তখন একটার পর একটা কবিতা লিখে যান শুধু ? যদি লিখেই যান- কেন তিনি লিখেই যাবেন ? কি দায় এত তার? যখন কবির মন ভরে ওঠে অব্যক্ত আবেগে, সেই সময়ের সেই ক্ষণের অনুভূতিগুলো তিনি লিখে রাখেন তার কবিতায়। তিনি কি চান তার লেখা কবিতা পড়ে সবাই তাকে বাহবা দিক ? সবাই তার প্রশংসা করুক- নাকি সে কেবল এটাই চায়, তার ভাবনা তার কথা অন্যরাও মিলিয়ে দেখুক সে যা ভেবেছে তা কতটা মৌলিক, কতটা যৌক্তিক। 

এমন কিছু কথাই লিখেছেন কবি খায়রুল আহসান তার Flowers of Dawn Do not Blossom At Dusk কবিতায়। 
Praise me not, my dear poets and friends, I know at this stage I cannot make amends For not blossoming at right time, the dawn, Weep not, mourn not, when I am silently gone. 


পাঁচ 
এরকম তো আমাদের সকলেরই হয়, ধরুন আপনি বসে আছেন ঘরে আপনার পরে আছে অন্য কোথাও। হয়ত আপনি মনে মনে গান গাইছেন মাইকেল জ্যাকসনের সাথে স্টেজ শেয়ার করে। কিংবা ভাবছেন এমন কিছু কথা, যা কেউ কখনো ভাবেনি আগে। এমন চিন্তাশীল মন, এমন অস্থির সময় আমাদের সকলের জীবনেই আসে ক্ষণে ক্ষণে -- এমন সময়ে মন যখন আচ্ছন্ন থাকে, মেঘলা যখন আকাশ থাকে-- মন তখন কেমন হয় ? সে কী তখন কবি নয় ?
এমন কিছু কথা লেখা আছে A poet’s Heart কবিতায়, 
A poet’s heart cannot be possessed By a single soul mate entwined or not, For a poet’s heart is free to wander, From heaven to earth without a knot. 

ছয় 
কবি নিয়েই যখন কথা হচ্ছে, কবি সত্তা নিয়েই যখন কথা হচ্ছে- তখন আরেকটি কবিতার কথা উল্লেখ না করলেই নয়। কবিতার নাম, You Are Not A Poet. সে কী কথা ? আমি কবি নই ? কেন আমি কবি নই ? কি কি শর্ত পূরণ না করলে আমি কবি নই! কবি হবার যোগ্যতাই বা কি? সেসব কথাগুলোই কবি নিজেকে শুনিয়েছেন বারবার, নিজেকে মনে করিয়ে দিয়েছেন একজন কবির চিন্তা কেমন হওয়া উচিত- 
আসুন দেখে নেই,

When the voice is muted, the eyes speak. When both are lost by distance, a person writes. When the pen stops, the piano lends voice to the Feelings of the heart. The unspoken words are then Narrated through the variations of the musical notes. You are not a poet, if you cannot translate the tune. 
সাত 
চাঁদ নিয়ে কার মধ্যে ফ্যান্টাসি নেই? কখনো কখনো চাঁদ আমাদের ক্ষুধার থালায় ঝলসে যাওয়া রুটি- কখনোবা আবার চাঁদ হয়ে যায় কবিতার জন্য আখর। চাদের কালিতে লেখা হয় কত কবিতা। চাঁদ কে তুলনা করা হয় প্রিয়ার মুখের সাথে। যখন পূর্ণ চাঁদ গ্রাস করে পৃথিবীকে, রূপালী আলোতে ছেয়ে যায় সমগ্র পৃথিবী- তখন কেমন হয় একজন কবির অবস্থা ? সে তখন পূর্ণ চাঁদ দেখে কিভাবে? আকাশে চোখ লাগিয়ে দূরবীনে ? 
Super moon কবিতায় কবি লিখেছেন, 
Not impressed, as a brighter full moon in lieu Descends on my bed when I sleep with you. 
আট 
জীবনে সবাই একটা ভরসার হাত চায়, চায় একটা হাত ধরে আজীবন চলে যাক সুখে দুখে- বুকে মাথা পেতে কান দিয়ে শুনতে চায় প্রিয় মানুষটির হৃৎস্পন্দন। ব্যথায় কাতর হলে পেতে চায় হাতের স্পর্শ। কিন্তু সেই নির্ভরতার হাত সবাই কী পায় ? কেউ কেউ হয়ত পায়। আসুন দেখি কি লিখেছেন কবি সেই নির্ভরতার সম্পর্ক নিয়ে তার কবিতা Just for you কবিতায়, 

I have given my shoulders on perpetual lease, For you to rest your head on, as you please. 

শেষ কথাঃ Wandering Thoughts, কবি খায়রুল আহসান এর ইংরেজি কাব্যগ্রন্থ। বইটিতে পাওয়া যাবে মোট ৬৭ টি কবিতা। যা উপস্থাপন করে কবির নানা সময়ের নানা অনুভূতির সমাহারকে। 
বইটি তিনি উৎসর্গ করেছেন একইসাথে তার বাবা প্রয়াত AKM Mahbubur Rahman এবং তার শিক্ষক Mr James Roger Simpson কে যিনি ক্যাডেট কলেজে তাকে বেসিক ইংরেজি গ্রামার শিখিয়েছিলেন।
এই বইটিতে খায়রুল আহসান তুলে ধরেছেন এমন সব চিত্রকল্প যা হয়ত ঘটে গেছে তার জীবনে অথবা ছুঁয়ে গেছে তার জীবনকে। বইটির ভূমিকাতে অন্তত এমনই দাবী, In ‘Wandering Thoughts’ Khairul Ahsan meanders through subjects which he has become acquainted with as he travelled the road of life. এই লাইনের সাথে পরিপূর্ণ আস্থা রেখে বলা যায়, কবিতার বইটির নামকরণ একদম যথাযথ হয়েছে ‘Wandering Thoughts’
বইটির ভূমিকা লিখেছেন আইরিশ কবি Marie Shine এবং বইটির প্রকাশক জাগৃতি প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী Dr. Razia Rahman.

বইটি পাওয়া যাচ্ছে একুশে বইমেলা ২০১৯ এর জাগৃতি প্রকাশনীর স্টলে এবং অনলাইনে রকমারি ঠিকানায়। https://www.rokomari.com/book/179184/wandering-thoughts
বইটির মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৮০ মূল্য: ২০০টাকা। 

------------------------------- 
জাহিদ অনিক 
৩/২/২০১৯